'পদের লোভ দেখিয়ে পেট্রলবোমা হামলা' পরিবার বলছে নির্দোষ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার যাত্রামুড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদউদ্দিনের দাবি, একটি রাজনৈতিক দল মামুন ভূঁইয়া নামের একজনকে দলে একটি সম্মানজনক পদের লোভ দেখিয়ে এই হামলার কাজটি করায়।
তবে মামুনের বোনের দাবি, তাঁর ভাই নির্দোষ। জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁর ভাইকে ধরিয়ে দিয়েছে।
এ নিয়ে আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদউদ্দিন বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনায় পাঁচ-ছয়জন শ্রমিক দগ্ধ হন। এরই মধ্যে দুজন মারা গেছে। এই ঘটনার পর থেকেই জেলা পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ শুরু করে। সিসিটিভির মাধ্যমে তাঁরা এ মামলার তদন্তে বড় অগ্রগতির দিকে যেতে সক্ষম হন এবং প্রকৃত অপরাধীদের ব্যাপারে তথ্য পান। এরপরই পুলিশ গাজীপুরের কালীগঞ্জের পুবাইল এলাকায় একটি টিলাসদৃশ ও নির্জন গোপন জায়গা থেকে মামুন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সুপার জানান, চারজন ব্যক্তি পেট্রলবোমা নিক্ষেপের কাজ করেছিল। এর নেতৃত্ব দিয়েছিল মামুন। মামুনের কথামতো জহিরুল নামে আরো একজনকে আটক করা হয়।’
মহিদউদ্দিন বলেন, মামুনের কাছ থেকে ঘটনার পরিকল্পনাকারী, সহায়তাকারী, জোগানদাতা, বাস্তবায়নকারী সবার সম্পর্কে তাঁদের কাছে কাছে তথ্য আছে। একটি দল মামুনকে সম্মানজনক পদের আশ্বাস দিয়ে কাজটি করিয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া জহিরুল রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারিকের ছোট ভাই।
এদিকে মামুনের বড় বোন জান্নাতি ফেরদৌস নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এসে দাবি করেন, তাঁর ভাই নির্দোষ। স্থানীয় একজনের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় তিনি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গত শনিবার রাতে তাঁর ভাইকে ধরিয়ে দেন। এরপর তাঁরা ডিবি পুলিশের সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগ করেছেন তারা কোনো জবাব দেননি। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। কিন্তু আমাদের ওপর এমনভাবে গজব পড়তাছে কেন?’
জান্নাতি দাবি করেন, তাঁর ভাই যাত্রামুড়া এলাকায় মাছ চাষ করেন। ২৭ ফেব্রুয়ারির পেট্রলবোমা হামলা ঘটনার পর এলাকায় পুলিশি হয়রানির ভয়ে মামুনকে পুবাইলে এক আত্মীয়র বাড়ি পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ সেখান থেকে তাঁর ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে।