খুলনায় বিএনপির সাবেক এমপি মঞ্জু কারাগারে

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় আজ সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে জামিনের জন্য আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর খুলনা নগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) অনুকূল চন্দ্র ঘোষ বাদী হয়ে দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনের ৩/৫ ধারা একটি মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল আলম নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রোববার আদালত এ মামলায় নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে নগরীর পিটিআই মোড়ে ইজিবাইক ভাঙচুর মামলায় ১৬ নভেম্বরও আদালত নজরুল ইসলাম মঞ্জু, মনিরুজ্জামান মনিসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ নিয়ে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ফেরারি হন নগর বিএনপির এ দুই শীর্ষ নেতা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মাওলা জানান, দুটি মামলায় জামিনের জন্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে (১) আত্মসমর্পণ করেন। আদালতের বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম ইজিবাইক ভাঙচুর মামলায় জামিন দিলেও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মঞ্জুর পক্ষে জামিন শুনানিকালে সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মালেক, মঞ্জুর আহমেদ, গোলাম মাওলা, সরদার ইউনুস, মোমরেজুল ইসলাম, মোল্লা মাসুম রশিদ, মাসুদ হোসেন রনি, আবদুস সবুর, নূরুল হাসান রুবাসহ শতাধিক আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জুর আত্মসমর্পণকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার নেতাকর্মী আদালত এলাকায় জড়ো হন। পুলিশও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে।