‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই আমাকে পরিপূর্ণ মানুষ করেছে’

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হতে পেরে আমি গর্বিত। এ বিশ্ববিদ্যালয়ই আমাকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ করেছে। জ্ঞান জীবনের একটি অংশ, কীভাবে জ্ঞানের কাছে পৌঁছাতে হবে সব সময় তার উপায় খুঁজতে হবে।’
উপদেষ্টা আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন খুলনা বিভাগীয় ইউনিটের তিন বছর পূর্তি ও দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কের স্মৃতিচারণা করে বলেন, আগে শিক্ষকদের মধ্যে দায়িত্ববোধ ছিল। একজন কম মেধাবী ছাত্রকেও বিকশিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন তাঁরা।
উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, যে শিক্ষার মধ্যে বিচারবোধ, সততা ও মন্যুষত্ববোধ থাকে না সে শিক্ষার মূল্য নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম এজেন্ডা ছিল সত্যের অন্বেষণ, তাই সত্যকে জানার জন্য সব সময় চেষ্টা করতে হবে।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রকীব উদ্দীন আহমেদ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি ও খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, খুলনার সভাপতি সাধন রঞ্জন ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় ইউনিটের মহাসচিব কাজী জুলফিকার আলী।
উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় আমাদের শিখিয়েছে দেশকে, সমাজ ও মানুষকে ভালোবাসা। ভালোবাসার সূচক দিয়ে র্যাংকিং করলে দেখা যাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ই শ্রেষ্ঠ। সত্যের অন্বেষণ করাই ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এজেন্ডা। সত্য বলাই হচ্ছে একটি বৈপ্লবিক কাজ। সততা ও সাহসিকতা না থাকলে কোনো ডিগ্রিই কাজে আসবে না।’
উপাচার্য জানান, ১৯২১ সালে ১২টি একাডেমিক ডিসিপ্লিন, ৬০ জন শিক্ষক এবং ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী দিয়ে শুরু হয়েছিল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ৯০টি একাডেমিক ডিসিপ্লিনে রয়েছে ৩৫ হাজার ছাত্র-শিক্ষক। তিনি ঢাবি অ্যালামনাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শিক্ষাবিদসহ বিপুলসংখ্যক অ্যালামনাই, তাঁদের স্বামী বা স্ত্রী ও সন্তান এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচিতে আরো ছিল স্মৃতিচারণা, খেলাধুলা, প্রীতিভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ।