আ.লীগের ১০০ জনের জামানত থাকলে রাজনীতি ছাড়ব

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী সংসদ সদস্যদের নিয়ে এ মুহূর্তে নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগের ১০০ জনের জামানত থাকলে কোনোদিন আর রাজনীতি করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। দেশে চলমান সংকট নিরসনে প্রধান দুই দলের মধ্যে আলোচনার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ৩৬তম দিনে আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিবেদন করছি যে, সবার দরকার নেই। ১৫৪ জন, আগে নাকি ৫৩ ছিল। পরে একজন প্রথম মহিলা স্পিকার বানাইছেন। সেটা অনির্বাচিত স্পিকার। তারেসহ নির্বাচন দেন। যদি ১০০ জনের জামানত থাকে, আমি আর রাজনীতি করব না।’
‘নিজেদের পতন দ্রুত চাইলে সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করবে’ বলে মন্তব্য করেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, দেশে এ মুহূর্তে কেউই নিরাপদ নয়। তাঁর অবস্থানের ৪০তম দিনে দলের নেতাদের সঙ্গে বসবেন এবং ওই দিনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে সংলাপে বসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সময় চাইবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
অবরোধ প্রত্যাহার ও সংলাপের দাবিতে গত ২৮ জানুয়ারি বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান শুরু করেন কাদের সিদ্দিকী। দুই নেত্রী দাবি না মানা পর্যন্ত তিনি অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
‘খালেদা জিয়া, অবরোধ প্রত্যাহার করুন, মানুষ বাঁচান। শেখ হাসিনা, আলোচনায় বসুন, দেশ বাঁচান।’ এমন লেখাসংবলিত ব্যানার নিয়ে লাগাতার অবস্থানে রয়েছেন কাদের সিদ্দিকী। তাঁর সঙ্গে দলের অন্য নেতারাও রয়েছেন।
অবস্থানের বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘দীর্ঘ অবরোধে যারা দিন আনে দিন খায়, তারা কোনো কাজ করতে পারছে না। তারা তো মরে যাচ্ছে। এ রকম চলতে পারে না। মূল বক্তব্য এটিই।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা দুজন বসুন। বসে আলোচনা করুন। বেগম খালেদা জিয়াকে বলছি, অবরোধ প্রত্যাহার করুন।’