বাংলাদেশে ঢুকে পাঁচজনকে পেটাল বিএসএফ

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় সীমান্ত অতিক্রম করে এসে বাংলাদেশি পাঁচ নাগরিককে পিটিয়ে আহত করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এ সময় গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে তাড়া দিলে বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে পতাকা বৈঠকে এ ঘটনার জন্য ভুল স্বীকার করে বিএসএফ। পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেয় প্রতিবেশী দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
আজ বুধবার ভোরে সীমান্তের মেইন পিলার ১৭-এর সাবপিলার ৪-এর কাছে উপজেলার গোয়ালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবির চান্দুড়িয়া বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবুল কাসেম গণমাধ্যমকে জানান, ভোরে ভারত থেকে গরু পাচারের সময় ভারতের গোবরা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা কয়েকজন রাখালকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে রাখালরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে।
এ সময় বিএসএফ সদস্যরাও সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকে গোয়ালপাড়া এলাকায় পটলক্ষেতে কর্মরত পাঁচ বাংলাদেশি কৃষককে মারধর করে দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
পরে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ও বিজিবি সদস্যরা একত্রিত হয়ে বিএসএফ সদস্যদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। আহত বাংলাদেশিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানান নায়েক সুবেদার আবুল কাসেম।
আহরা হলেন কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের জিয়াদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫), আব্দুস সাত্তারের ছেলে রিপন হোসেন (২৭), শামীম হোসেনের ছেলে গোলাম (৩০), আবুল কাসেমের ছেলে রিপন ইসলাম (৩০) ও আফতাব হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন (৪০)।
দুপুরে বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘পাঁচজন নয়, দুজন কৃষক আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে।’
পরে সন্ধ্যায় বিজিবির চান্দুড়িয়া বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবুল কাসেম সাংবাদিকদের জানান, বিকেল সাড়ে ৪টায় ১৫ মিনিটব্যাপী পতাকা বৈঠকে বিএসএফ এ ঘটনা স্বীকার করে জানিয়েছে, কাজটি ভুলক্রমে হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে তারা সতর্ক থাকবে।
পতাকা বৈঠকে বিএসএফের গোবরা কোম্পানি কমান্ডার ওপি সিং ও বিজিবির পক্ষে নায়েক সুবেদার আবুল কাসেম অংশ নেন।