হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি মুলতবি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত পরিবর্তন এবং খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি ১২ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিক শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন।
মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে অংশ নেন।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, খালেদা জিয়া একজন পলাতক আসামি। তাই তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিতের আবেদন করতে পারেন না।
অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) ২৫ ফেব্রুয়ারির আগে বিচারকের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে আবেদন করেছেন। তাঁর আবেদনে কোনো সমস্যা নেই।
গতকাল বুধবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুটি দুর্নীতির মামলার শুনানি আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করেন পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার, জামিন বহাল, সাক্ষ্য পেছানো ও আদেশ সংশোধনের মোট চারটি আবেদনের পর শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সশরীরে হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন বাতিল করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক আবু আহমেদ জমাদার। তারেক রহমানকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।