ছাত্রীর মৃত্যু, শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত শুরু

নারায়ণগঞ্জে গণবিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।
গত বৃহস্পতিবার গণবিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী উম্মে হাবিবা শ্রাবণী মারা যান। অভিযোগ উঠেছে, পরীক্ষার সময় নকল করার অভিযোগে শ্রাবণীকে বহিষ্কার ও তিরষ্কার করায় সে আত্মহত্যা করে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. ইলিয়াস হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটিতে আরো আছেন শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল খালেক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সামাদ।
আজ সোমবার দুপুরে কমিটির সদস্যরা শ্রাবণীর পরিবার, বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিসহ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা শহরের নিতাইগঞ্জের ছোট ভগবানগঞ্জ এলাকায় উম্মে হাবিবা শ্রাবণীর বাড়িতে যান। এ সময় তাঁরা নিহত শ্রাবণীর বাবা হাবিবুল্লাহ ও মা সেতারা বেগমের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
গণবিদ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান মুন্না তদন্ত কমিটির কাছে উম্মে হাবিবা শ্রাবণীকে চড় মারার কথা স্বীকার করেন। অপর অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক নাসরিন সুলতানা তদন্ত কমিটির কাছে বলেন, ‘ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার জীববিদ্যা পরীক্ষা চলছিল। বেলা ১১টার দিকে অতিরিক্ত কাগজসহ খাতা যোগ করার সময় শিক্ষার্থী শ্রাবণীর হাতের লেখা চার পাতার নকল তার খাতার নিচে পাওয়া যায়।’ তিনি জানান, পরে তিনি নকলসহ শ্রাবণীর খাতা জব্দ করে ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বারের কাছে নিয়ে আসেন। পরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রাবণীকে বহিষ্কার করেন। তবে ওই নকল দেখে খাতায় লিখছিল কি না তা তদন্ত কমিটির কাছে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি নাসরিন সুলতানা।
তদন্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘তদন্তকাজ শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’