হরতাল আহ্বানকারীদের প্রতিষ্ঠান, গাড়ি সব চলছে : সেতুমন্ত্রী

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যাঁরা হরতাল ডাকেন তাঁদের সব প্রতিষ্ঠানই খোলা। তাঁদের ব্যক্তিগত গাড়ি চলছে। মালিকানাধীন পরিবহনও দূরপাল্লা ও মহানগরে চলছে। তাঁরা নিজেরাই তো হরতাল-অবরোধ মানছেন না।’
আজ শুক্রবার বিকেলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জয়দেবপুর থেকে ভালুকা পর্যন্ত সড়কের উন্নয়নকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যাঁরা হরতাল ডাকেন আমার অবাক লাগে তাঁদের সব প্রতিষ্ঠানই খোলা। ঢাকা সিটিতে আমি গতকালও দেখলাম তাঁদের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা। তাঁদের ব্যক্তিগত গাড়িতে করেই তো তাঁরা এখানে-ওখানে যাচ্ছেন। তাঁদের ব্যক্তিগত গাড়িও চলছে। তাঁদের মালিকানার যে পরিবহনগুলো দূরপাল্লায় যাতায়াত করে, ঢাকা সিটিতে যাতায়াত করে সেগুলো কিন্তু খোলা, সেগুলো কিন্তু চলছে অবাধে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তাহলে হরতাল-অবরোধ যাঁরা ডেকেছেন তাঁরা নিজেরাই তো তা মানছেন না। জনগণ কী করে মানবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পেট্রলবোমা মেরে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি দগ্ধ করা হচ্ছে। আরেকটা বিষয় চোখে দেখা যাচ্ছে না যে, ইকোনমির ক্ষতিটা বোঝা যায়, পরিমাপ করা যায় কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থার ওপর পেট্রলবোমা মেরে যে ক্ষতি করা হচ্ছে এটা তো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে আক্রমণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের ওপর পেট্রলবোমা মারা হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এটা আত্মঘাতী সর্বনাশা রাজনীতি, এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আগামী জুন মাসে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ফোর লেনের কাজ শেষ হবে। ওরই মধ্যে সড়কের ৯৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ সড়কের মাওনা চৌরাস্তা ফ্লাইওভার এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জয়দেবপুর থেকে ভালুকা পর্যন্ত সেনাবাহিনী যে কাজটি করছে, তা মে মাসে শেষ হবে। তাঁরা ৭৬ শতাংশ কাজ শেষ করে ফেলেছে। সেনাবাহিনী এ সড়কের প্রথম দুটি প্রকল্প তদারকি করছে। বাকি দুটি প্রকল্প জেনারেল কন্ট্রাক্টর তদারকি করছে। তাদের ওই অংশটুকু মে মাসের মধ্যে শেষ হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফোর লেনের প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, সওজের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আফতাব আহমেদ খান, ময়মনসিংহ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাহাব উদ্দিন খান, সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের মেজর তামিম, মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি সানোয়ার হোসেন প্রমুখ।