দুই মামলায় কারাগারে ১৪, ‘নিরীহ’রা মুক্ত
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে আটক ১৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মহানগর হাকিম ঝলক রায় তাঁদের জামিন আবেদন বাতিল করে এ আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার সকালে চকবাজার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্র ,ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। অস্ত্র আইনের মামলায় চারজন এবং বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিকেল ৩টায় আটক ছাত্রদের আদালত আনা হয়।
সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় মহানগর হাকিম এক আদেশের মাধ্যমে ১৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের পর ছাত্রশিবির সন্দেহে ৬৬ জনকে আটক করে পুলিশ। গতকাল রাতেই ৫২ জনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আজিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আটকদের মধ্যে স্কুলের ছাত্র, পথচারীসহ নির্দোষ মানুষ ছিলেন। তাই যাচাই করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের।’
অভিযোগ উঠেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার আটকের সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দিয়ে ছাত্রশিবির চিহ্নিত করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ওসি আজিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ওরা ওই কলেজের ছাত্র। এ কারণে চিহ্নিত করার সময় এ সাহায্য নেওয়া হয়েছে।’
ওসি আরো বলেন, ‘এরপরও প্রকৃত শিবিরকর্মীদের চিহ্নিত করতে পারেনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বরঞ্চ অনেক নিরীহ মানুষকে শিবির বলে চিহ্নিত করেছে। যাচাই করার পর আমরা দেখেছি এঁদের অনেকেই শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। এ কারণে নিরীহ মানুষকে আমরা ছেড়ে দিয়েছি।’