নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, নারীকর্মীদের হেনস্তার অভিযোগ

তালিকাভুক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের না ধরে পুলিশ কেবল বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন যশোর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মারুফুল ইসলাম।
আজ রোববার সকালে যশোর প্রেসক্লাবে নগর বিএনপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মারুফুল এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, নির্বাচন সামনে রেখে সরকারি দলের প্রার্থীর কর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপির প্রার্থীদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। এ ছাড়া বিএনপির নারীকর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে ভোট চাইতে গেলে সরকারি দলের কর্মীরা তাদের হেনস্তা করছে।
ভোট ডাকাতি করার জন্য যশোরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সন্ত্রাসীদের সংঘবদ্ধ করা হচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন মারুফুল ইসলাম। শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওই ওয়ার্ডে ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ভোট চাওয়া দূরের কথা, বাড়ির বাইরে বের হতে পারছে না।’ এ ছাড়া যশোরের বিভিন্ন কলেজের হোস্টেলগুলোতে সন্ত্রাসীদের জড়ো করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এই মেয়র প্রার্থী।
এসব অভিযোগ আজ সকালে লিখিতভাবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে বলে জানান মারুফুল ইসলাম।
বিএনপির পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে কিছু প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যেহেতু রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সব ভোটকেন্দ্র মাত্র ১৫ মিনিটের দূরত্বে, তাই আগের রাতে কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স না পাঠিয়ে ভোটের দিন সকালে ব্যালট বাক্স পাঠানো। একই সঙ্গে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বিচারিক ক্ষমতাসহ যশোর পৌরসভায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছাড়া কোনো ব্যালট যাতে গণনা করা না হয়, সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি রফিকুর রহমান তোতন, গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ ইসাহক, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু প্রমুখ।