দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কাজ করায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। একই অভিযোগে রাঙামাটি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বহিষ্কৃত হয়েছেন। 

আজ সোমবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক জরুরি সভায় জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সুরঞ্জিত তালুকদার পাপ্পু, জেলা কমিটির সদস্য কাজী আবদুস সালাম, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল জব্বার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন দাশ ও জেলা কমিটির সদস্য রবিউল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। 

এদিকে, দলীয় সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমানের পক্ষে কাজ করে দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট করার অভিযোগে রাঙামাটি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম রতনকে বহিষ্কার করেছে দলটি। 

সংগঠনটির সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি হৃদয় রঞ্জন চাকমা এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনামতে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় মনিরুল ইসলাম রতনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সদর উপজেলা কমিটি বহিষ্কারের কাগজ জেলা কমিটির কাছে প্রেরণ করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

মনিরুল ইসলামের বহিষ্কারের বিষয়টি আরো জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর। মুছা মাতব্বর এর আগেই বলেছিলেন, ‘যাঁরা দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে গিয়ে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী বা অন্য কোনো মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন, তাঁদের সরাসরি বহিষ্কার করা হবে।’

এর আগে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মেয়র প্রার্থী হওয়ায় হাবিবুর রহমান ও অমর কুমার দে-কে বহিষ্কার করেছিল দলটি। 

একই অভিযোগে রাঙামাটি জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল দে টিংকুকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় শিমুলকে বহিষ্কার করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ কাজল। 

নূর মোহাম্মদ কাজল জানান, রাঙামাটি জেলা যুবলীগের এক জরুরি সভায় পৌরসভা নির্বাচনী দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে গিয়ে একজন বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় এবং তা প্রমাণিত হওয়ায় যুবলীগের গঠনতন্ত্রের ২২(ক) ধারা অনুযায়ী তাঁকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

নূর মোহাম্মদ কাজল আরো জানিয়েছেন, আর কোনো যুবলীগ নেতাকর্মী যদি একইভাবে দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট করে অন্য কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে এবং তার প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তাকেও সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার করা হবে।