তারাবতে অভিযোগের পাশাপাশি চলছে জোর প্রচার

নারায়ণগঞ্জে তারাব পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীরা একে অপরের নানা অভিযোগ উত্থাপন করছেন। পাশাপাশি জয় নিশ্চিত করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা। এতে ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই জমে উঠছে এখানকার নির্বাচন।
বিএনপি প্রার্থী নাসির উদ্দিন অভিযোগ করেন, রাতের বেলায় আওয়ামী লীগের লোকেরা তাঁর দলের লোকদের হয়রানি করছে, হুমকি দিচ্ছে। দিনের বেলায় পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা সহযোগিতা করছেন। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে তার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নাসির উদ্দিন।
বর্তমান মেয়র শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, এখানে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তির পাঁচ হাজার মানুষ ভাড়া করে রেখেছে জাল ভোট দেওয়ার জন্য। এর সঙ্গে বিএনপি প্রার্থীরও যোগ রয়েছে। এ বিষয়ে তাঁর কাছে সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে বলেও দাবি করেন শফিকুল। তবে এ ব্যাপারে এখনো তিনি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি।
শফিকুল আরো বলেন, এ রকমটি হলে তাঁর দলের কর্মীরাও বসে থাকবে না। এখনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাঁর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। রাতের আঁধারে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে তিনি লাইভ ক্যামেরা চালু রাখারও দাবি জানান।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী হাসিনা গাজী। তিনি বলেন, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও এখানে বিগত পাঁচ বছরে পৌরসভার কোনো উন্নয়ন হয়নি। মেয়র সরকারের বাজেট পর্যন্ত খরচ করেননি। মানুষ তাঁর কাছে গেলে হয়রানির শিকার হয়েছে।
এসব আড়াল করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন হাসিনা গাজী। তিনি জানান, মেয়র নির্বাচিত হলে একটি মাদকমুক্ত পৌরসভা তিনি গড়ে তুলবেন।