সচিবদের সঙ্গে শিক্ষকদের তুলনা হয় না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সচিবদের সঙ্গে শিক্ষকদের তুলনা হয় না। সচিবদের স্থান সচিবদের জায়গায় আর শিক্ষকদের স্থান শিক্ষকদের জায়গায়।’
আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক মন্ত্রী এ কথা জানিয়েছেন।
এর আগে বেতন কাঠামোয় কোনো ত্রুটি আছে কি না—এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেতন কাঠামো নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, গেজেট প্রকাশের সময় সেভাবে হয়নি। এ কারণেই এ অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সঙ্গে কি কোনো সচিবের তুলনা হয়? একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর। আর একজন সচিবের চাকরির বয়স ৫৯ বছর। তাহলে তো আমাদের উচিত শিক্ষকদের বয়স কমিয়ে ৫৯ বছরে নিয়ে আসা।’ তিনি বলেন, ‘তা ছাড়া একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ভিজিটর শিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন স্থানে ক্লাস নেওয়ার সুযোগ পান। সচিবদের তো চাকরির বাইরে আর কিছু করার সুযোগ নেই।’
প্রধানমন্ত্রীর আগে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রশ্ন রাখেন, ‘সরকার সর্বপর্যায়ে বেতন দ্বিগুণ করে দিয়েছে। এর পরও এ আন্দোলন কেন?’
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের এ আন্দোলন সরকারের জন্য বিব্রতকর। সরকার চেষ্টা করছে বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে সবার সম্মান বজায় রাখতে।’
এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।