বিদ্যুৎ-সড়কে এআইআইবি থেকে ঋণ আসছে

চীনের নেতৃত্বাধীন ‘এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক’ (এআইআইবি) থেকে শিগগিরই বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও আঞ্চলিক সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে ঋণ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
ব্যাংকটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দেশে ফিরে আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে চীনের প্রস্তাবিত প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়গুলোকে সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।
অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তিসহ ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পে এআইআইবির কাছে বাংলাদেশের জন্য প্রায় আট বিলিয়ন (৮০০ কোটি) মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় এশীয় অঞ্চলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের লক্ষ্য নিয়ে গত রোববার যাত্রা শুরু করে এআইআইবি। ব্যাংকটিকে দেখা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যাংকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে।
অর্থমন্ত্রী জানান, সদস্য হিসেবে ব্যাংকটি থেকে অবকাঠামো ও যোগাযোগ খাতে বাংলাদেশ যে ঋণ পেতে যাচ্ছে, তার সুদের হার ও অর্থ পরিশোধের শর্ত অন্যান্য দাতা সংস্থা ও দেশের মতো হলেও পরিমাণে অনেক বেশি হবে। তবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হতে না পারায়।
মুহিত বলেন, ‘আমাদের ইআরডি (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ) যদি একটু ভিজিল্যান্স (সতর্ক) হতো তাহলে আমরা প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হতে পারতাম।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকৃচি-বিসিএস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের আন্দোলনরতদের সঙ্গে যে সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় বেতন স্কেল সমন্বয় করা হবে। তবে তা সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে জাতীয় বেতন স্কেল সমন্বয় করা হতে পারে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।