মাহফুজ একাই শিল দিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করে : এসপি

নারায়ণগঞ্জ শহরের ২ নম্বর বাবুরাইলের একটি বাড়িতে ঢুকে পাঁচজনকে মাহফুজুর রহমান একাই শিল দিয়ে হত্যা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
এসপি বলেন, ‘মাহফুজ শিল-পাটার শিল দিয়ে এই পাঁচজনকে হত্যা করেছে। আমরা সেই শিলটি উদ্ধার করেছি। সে কোন জায়গায় ছিল সেটি বের করার চেষ্টা করেছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শুধু একজনই ছিল বলে আমাদের কাছে এ পর্যন্ত প্রমাণ মিলেছে।’
কী কারণে মাহফুজ এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে একটি দুর্ভাগ্যজনক বিষয়ের কারণে। ফ্যামিলি ভ্যালিউজ (পরিবারিক মূল্যবোধ), সোশ্যাল ভ্যালিউজ (সামাজিক মূল্যবোধ), রিলিজিয়াস ভ্যালিউজ (ধর্মীয় মূল্যবোধ) এ জায়গাগুলোতে আমাদের নার্সিং করা প্রয়োজন। নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম রাতে বাড়িতে থাকবে না জেনেই একটি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে সে (মাহফুজ) ওই বাড়িতে যায়।’
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কে এম ফজলুর রহমান বলেন, ‘আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মাহফুজ হত্যার কথা স্বীকার করেছে।’
সাতদিনের রিমান্ডের তৃতীয় দিনে আজ দুপুরে আসামি মাহ্ফুজুর রহমান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিচারিক হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফ তাঁর খাস কামরায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এ মামলার অপর আসামি নাজমা বেগমের পাঁচদিন রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন ছিল আজ।
গত শনিবার ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ শহরের ২ নম্বর বাবুরাইলের একটি বাসায় ঢুকে একই পরিবারের পাঁচজনকে ভারী অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
নিহতরা হলেন একই পরিবারের তাসলিমা (৩৫),তাঁর ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ভাই মোরশেদুল (২৫) ও জা লামিয়া (২৫)।
এ ঘটনার পরের দিন ১৭ জানুয়ারি দুপুরে শফিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় তিনজনকে সন্দেহ (সাসপেক্ট) করে অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়কে আসামি করে মামলা করেন। এরই মধ্যে মামলাটি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই দিনই রাজধানীর কলাবাগান থেকে মাহফুজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর শরীয়তপুর থেকে নাজমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।