অভিযোগ পেলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেবে ফেসবুক

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে কোনো ‘অ্যাডমিন’ বসাবে না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নেবে প্রতিষ্ঠানটি।
আজ রোববার সচিবালয়ে এ কথা জানিয়েছেন ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সিঙ্গাপুরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তারানা হালিম।
গত ১২ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তারানা হালিম সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া সফর করেন। সিঙ্গাপুরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তারানা হালিম।
তারানা হালিম বলেন, ‘ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশে অ্যাডমিন বসানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ দেশে অ্যাডমিন বসানোর প্রয়োজন নেই। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যাডমিন দিয়ে শুধু ফেসবুক কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়াদি তদারকি করা হয়। কোনো ফিল্টারিংয়ের কাজ অ্যাডমিন দিয়ে হয় না।’
টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যখনই কোনো বিষয়ে অনুরোধ করবে সব অনুরোধের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সময়ে সাড়া দেবে ফেসবুক। নারীর প্রতি সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত ইউআরএল সরবরাহ করলে সে বিষয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তা বাংলাদেশকে জানাবে।’
তারানা হালিম বলেন, ‘ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আমাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে বাংলাদেশে অ্যাডমিন বসানোর প্রয়োজনীয়তা নেই।’
ভবিষ্যতে ফেসবুক বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা পড়বে কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, ‘জনপ্রিয় এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করার ইচ্ছে সরকারের নেই। আগেও ছিল না। কেবল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বিশেষ প্রেক্ষাপটে সাময়িক সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধ করা হয়।’
টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকায় স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সংস্থা সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন বলে তিনি জানান। তারানা হালিম বলেন, ‘ঢাকার দুই মেয়র তাঁদের নির্বাচনী অঙ্গীকারে স্মার্ট সিটি হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন।’
স্মার্ট সিটি কী ধরনের হবে, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারানা হালিম বলেন, ‘গাড়ি পার্কিংয়ের মতো বিষয়গুলো থেকে প্রাত্যহিক জীবন ডিজিটালাইজেশনের মধ্যে নগরকে নিয়ে আসা।
তারানা হালিম আরো জানান, তিনি মালয়েশিয়া সফরে সে দেশের যোগাযোগ ও মাল্টিমিডিয়াবিষয়ক মন্ত্রী সালেহ সাঈদ কেরাউকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে কারিগরি সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান টেলিটককে লাভজনক করতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।