খুলনায় গণপূর্তে ১০ কোটি টাকার কাজ ভাগ-বাটোয়ারা

খুলনায় টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ডরমেটরি ও জুটশেড ভবন নির্মাণের ১০ কোটি টাকার কাজ আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ঠিকাদাররা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খুলনার এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নির্দেশে গতকাল রোববার রাতেই যুবলীগ নেতারা ঠিকাদারদের কাছ থেকে শিডিউল ছিনিয়ে নেন। এ জন্য দুটি গ্রুপের কাজে মোট ১৬টি শিডিউল বিক্রি হলেও জমা পড়েছে একটি করে।
গণপূর্ত বিভাগ-২ থেকে জানা গেছে, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশে চারটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে খুলনার ইনস্টিটিউটের জন্য দুটি ভবন নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয় গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর। আজ সোমবার ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়।
দরপত্রে ডরমেটরি ভবন নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় তিন কোটি ৭৫ লাখ এবং জুট শেড ভবন নির্মাণের জন্য ব্যয় ছয় কোটি পাঁচ লাখ টাকা। প্রথম গ্রুপে ১০টি এবং দ্বিতীয় গ্রুপের জন্য ছয়টি শিডিউল বিক্রি হয়। কিন্তু আজ দরপত্রের বাক্স খুলে দেখা যায় দুটি গ্রুপে একটি করে শিডিউল জমা পড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঠিকাদার জানান, রোববার রাতেই তাঁদের কাছ থেকে একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নাম বলে শিডিউল কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এজন্য ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কেউ শিডিউল জমা দিতে পারেননি। প্রভাবশালী ওই নেতার নাম এবং নিজের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে রাজি হননি তিনি।
গণপূর্ত বিভাগ ২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সারওয়ার জাহান বলেন, প্রথম গ্রুপে মেসার্স বদরুল ইকবাল লিমিটেড এবং দ্বিতীয় গ্রুপে তমা কন্সট্রাকশন নামের একটি ফার্ম একটি শিডিউল জমা দিয়েছে। শিডিউলগুলো এখন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও প্রকল্প পরিচালক শেখ ইউসুফ আলীর দপ্তরে পাঠানো হবে। তিনিই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি বলেন, শিডিউল কেড়ে নেওয়ার কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।
যুবলীগ নেতা শওকত হোসেন শিডিউল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি আজ গণপূর্ত বিভাগেই যাননি। এ ছাড়া ঠিকাদারি কাজ ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে কি না তা তাঁর জানা নেই।