বিচারপতিদের আচরণবিধি দরকার : আইনমন্ত্রী

বিচারপতিদের আচরণবিধি থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিচারপতিদের একটি আচরণবিধি থাকা প্রয়োজন। বিচারপতিরা সম্মানিত ব্যক্তি, তাঁদের আচার-আচরণ অনুসরণীয় হওয়া উচিত। কিন্তু বর্তমানে এর ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে।
এর আগে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। এর পর সাক্ষাতের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী। ওই সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
বিচারপতিদের আচরণবিধি কে প্রণয়ন করবেন—জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বিচারপতিদের আচরণবিধি প্রণয়নের এখতিয়ার হলো প্রধান বিচারপতির। সরকার শুধু প্রধান বিচারপতিকে পরামর্শ দিতে পারে এবং সরকারের পক্ষ থেকে এ পরামর্শ দেওয়া হবে।
ইইউর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে। আমাদের দেশের আইন থেকে মৃত্যুদণ্ডের বিধান উঠিয়ে দেওয়া যায় কি না, তা তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন। আমি বলেছি, বিদ্যমান যেসব আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে, তা বহাল থাকবে। তা রহিত করার সুযোগ নেই। সামনে যেসব আইন হবে, সেখানে মৃত্যুদণ্ডের বিধান না রাখার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করবে। যেমন—খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল এটি একটি কঠোর আইন। এ আইনের খসড়ায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল। তা আমরা পরিবর্তন করে সেখানে সর্বোচ্চ সাজা ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।’
এ ছাড়া ইইউ প্রতিনিধিদল ব্লগার হত্যার বিচারের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি যে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডেরই সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। সরকার বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। কারো বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চায় না।’
ওই সময় বাকস্বাধীনতার নামে অন্য কারো অধিকার যেন ক্ষুণ্ণ না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার আদৌ হবে কি না, তা জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আশা রাখেন, আমিও আশা রাখি যে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে।’