বিএনপির প্রার্থী নেই ১০১ ইউপিতে, ভয়ভীতির অভিযোগ
প্রথম দফার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৭৩৮টির মধ্যে ১০১ ইউনিয়নে প্রার্থী নেই বিএনপির। দলটির নেতারা অভিযোগ করছেন, ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাস আর ভয়ভীতির কারণে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বিএনপির প্রার্থীরা।
আগামী ২২ মার্চ দলীয় প্রতীকে হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম পর্বের ৭৩৮টির মধ্যে ৭১টি ইউনিয়নে মনোনয়ন জমা পড়েনি বিএনপির প্রার্থীর। যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছে আরো ৩০ প্রার্থী। ফলে গড়ে প্রায় সাতটি ইউনিয়নের একটিতেই প্রার্থী রইল না ধানের শীষ প্রতীকের। এটিকে সাংগঠনিক ব্যর্থতা মানতে নারাজ বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রার্থী দেওয়ার মতো একজন না, বহু প্রার্থী আছে। সব প্রার্থী আগ্রহ প্রকাশ করছেন না, ওই একটি কারণে। প্রথমত, দাঁড়াইলে মামলা খাবে। তারপর তার টাকাপয়সা নষ্ট হবে। প্রার্থীর পক্ষে যাঁরা কাজ করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। বাড়ি বাড়ি পুলিশ গিয়ে তাঁদের হয়রানি করবে। এগুলো হলো বাস্তব চিত্র।’
ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্য কিছু এলাকায় আমরা প্রার্থী দিতে পারি নাই বলে যে কথা বলা হচ্ছে, সে কথা সঠিক না। বিএনপির অধিকাংশ প্রার্থী, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে যারা দাঁড়িয়েছে, তারা জিতবেই। এ কথা উপলব্ধি করতে পেরেই আওয়ামী লীগ সারা দেশে টেরোরাইজ (সন্ত্রাস) করেছে। যেমন ৫০টা তারা সরাসরি কেড়ে নিয়ে গেছে।’
বিএনপি নেতারা বলছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই, তারপরও জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাঁরা। ফলাফল যাই হোক না কেন নির্বাচনে রাজনৈতিক জয় হবে বিএনপির এমনই দাবি তাদের।
জোটগতভাবে এ নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও কেন্দ্রে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হবে না বলে জানান বিএনপির এই দুই নেতা। শরিকদের কোন কোন ইউনিয়নে ছাড় দেওয়া হবে তার ভার দেওয়া হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের।