এবার আনসার সদস্যদের শিশু নির্যাতন

একটি কুমড়া চুরির অভিযোগে পাবনায় এক শিশুকে নির্মমভাবে পিটিয়েছেন আনসার সদস্যরা। আজ শনিবার বেড়া উপজেলার বৃশালিখা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
যে শিশুটিকে পেটানো হয়েছে তার নাম সোহেল (১২)। সে ওই গ্রামের দিনমজুর সাচ্চু প্রামাণিকের ছেলে।
সোহেলের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, আজ সকালে পাতা কুড়ানোর জন্য সোহেল পাম্প হাউজে যায়। এর আগেই অন্য ক্ষেত থেকে কুড়িয়ে পাওয়া মিষ্টি কুমড়া নিয়ে বস্তায় ভরে সে। পাম্প হাউজে যাওয়ার পর সেখানকার আনসার সদস্যরা তার পাতার বস্তায় কুমড়াটি দেখতে পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আনসার সদস্যরা। সোহেলকে চোর সাব্যস্ত করে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে পিলারের সাথে বেঁধে রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন তাঁরা।
ক্যাম্পের চারপাশে বেষ্টনি থাকায় সোহেলের চিৎকার শুনেও কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে যেতে পারেনি। আনসার সদস্যদের আঘাতে একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় শিশু সোহেল।
এ বিষয়ে পাম্প হাউজের এসও বাবর আলী বলেন, আনসার সদস্যরা সোহেলকে দু-একটা চড় দিয়েছে। এর বেশি কোনো আঘাতের কথা স্বীকার করেননি তিনি।
তবে সোহেলের অভিভাবক এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সোহেলকে বেঁধে রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে খোঁজখবর করতে গেলে আনসার সদস্য মালেক ও আজমত আলী ছাড়া সকালের পালার কোনো আনসার সদস্যকে পাননি সংবাদকর্মীরা। আনসার আজমত আলী সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি এসও সাহেবের সামনেই ঘটেছে। সোহেলের বস্তার কুমড়াটি পাম্প হাইজের ভেতরের নয় বরং বাইরের ক্ষেতের ছিল বলেও স্বীকার করেন তিনি।
শিশু সোহেল বর্তমানে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার শরীরে মারধরের বেশ কিছু চিহ্ন দেখা গেছে।
বেড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) জাকির হোসেন জানান, এরইমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তবে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মামলা করা হয়নি। মামলা হলে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।