সিরাজগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে ‘নির্যাতন’, মামলা দায়ের
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে মাহমুদা নামের এক গৃহবধূকে ব্যাপক নির্যাতন ও মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের পংরোহালী গ্রামে ঘটা এই নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। ওই গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ-জামাইকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের পংরোহালী গ্রামের বেল্লাল হোসেনের মেয়ে মাহমুদা খাতুনের (২৯) সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে একই গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম মানিকের (৩৫) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ওই গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করা হতো। দাবীকৃত ৫০ হাজার টাকা যৌতুক না পেয়ে গত শুক্রবার বিকেলে গৃহবধূ মাহমুদাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর স্বামী জাহাঙ্গীর আলম মানিক, শ্বশুর আবদুর রাজ্জাক, শাশুড়ি জাহানারা খাতুন ও ননদ-জামাই ইমান আলী ব্যাপক নির্যাতন ও মারধর করেন। এতে মাহমুদা আহত হলে তাঁকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গৃহবধূ মাহমুদা বাদী হয়ে শনিবার সকালে তাড়াশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মাহমুদার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম মানিক, শ্বশুর আবদুর রাজ্জাক, শাশুড়ি জাহানারা খাতুন ও ননদ-জামাই ইমান আলীকে আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ এ টি এম আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গৃহবধূ মাহমুদার এজাহার পেয়েছি। বিধি অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’