খুলনার মেয়রকে মুক্তি ও বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি বিশিষ্ট নাগরিকদের

খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুজ্জামান মনির অবিলম্বে মুক্তি ও তারঁ সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী, সৎ নিষ্ঠাবান বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনিকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। বিগত নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে এই জনপ্রিয় সিটি মেয়র খুলনা সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতি ও রাজনীতিমুক্ত করে প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সিটি করপোরেশন পরিচালনার কারণে শাসক দলের ঈর্ষার শিকার মেয়র মনিরুজ্জামান মনিকে দুই মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় আসামি করা হয়। দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত বা দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি অযোগ্য বিবেচিত হবেন না। অথচ এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কালো আইনের মাধ্যমে একজন মেয়রকে পদচ্যুত করে শাসকদল প্রতিহিংসার রাজনীতির চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করেছে।’
শারীরিকভাবে অসুস্থ প্যানক্রিপ্টোসাইটিস রোগে আক্রান্ত সিটি মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দিয়ে এবং বরখাস্ত করে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে সরকার খুলনাবাসীকে অসম্মান করেছে বলেও বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে মনিরুজ্জামান মনিকে মুক্তি ও বরখাস্তের আদেশসহ সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন প্রফেসর আব্দুল মান্নান, প্রফেসর ড. রেজাউল করিম, ডা. জাফর উল্লাহ, ডা. রফিকুল হক বাবলু, অধ্যক্ষ আলী আহমেদ, অধ্যা. নওজেশ আহমেদ, ডা. আক্তারুজ্জামান, ড. জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু, অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ ইউনুস, অ্যাডভোকেট এস আর ফারুক, অ্যাডভোকেট মাসুদ হোসেন রনি, প্রফেসর আফতাব আহমেদ, সাংবাদিক আবু তৈয়েব মুন্সী, সাংবাদিক আনোয়ার আহমেদ, সাংবাদিক হাসান আহমেদ মোল্লা, সাংবাদিক এরশাদ আলী, সাংবাদিক এহতেশামুল হক শাওন, সাংবাদিক তারিকুল ইসলাম, সাংবাদিক শামিমুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ।