জনগণের অংশগ্রহণ,স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ‘জনতার মুখোমুখি’ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী এবং পরিষদের কাউন্সিলরা।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে ওই অনুষ্ঠানে মেয়র আইভী ও কাউন্সিলররা অনুষ্ঠানে উপস্থিত নগরবাসীর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

‘জনতার মুখোমুখি’ অনুষ্ঠানে আইভী বুধবার রাতে জাকির হোসেন নামের এক ঠিকাদারকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বলেন, ‘শহরের দেওভোগ জিমখানায় যে পার্ক ও লেক নির্মাণ হয়েছে তার ইজারা দিয়েছে সিটি করপোরেশন। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।’

মেয়র আইভী  আরো বলেন, ‘ঠিকাদার গ্রেপ্তারসহ নানা অসুবিধার পেছনে রয়েছে একটি অপশক্তি ও অশুভ মহল, যারা উন্নয়ন কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। কারণ মামলা করলে আমার কিংবা সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে হতে পারে। জাকিরকে গ্রেপ্তারের পর আমি থানায় গিয়ে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ছিলাম শুধু সহমর্মিতা জানানোর জন্য।’

তবে জলাশয় সংরক্ষণ আইনে দেওভোগ ও জিমখানায় যে লেক নির্মাণ হচ্ছে সেটা ড্যাপ অনুযায়ীই হচ্ছে বলেও জানান মেয়র আইভী। তিনি বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে সেখানে জলাশয় করা হবে কোনোভাবেই বাণিজ্যিক প্লট বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। যদি আমি বেঁচে থাকি তাহলে সেখানে লেক হবেই। আমিও জানি কীভাবে এসব অপশক্তিদের মোকাবিলা করতে হবে। আমি শান্তিপূর্ণভাবে লড়তে চাই। কেউ লড়তে চাইলে আমার সঙ্গে লড়তে আসুক।’

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন,‘এর আগে ৩৫ বার রেলওয়েকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বার্থেই জলাশয় সংরক্ষণ করে সেখানে পার্ক করা হবে। কেউ যদি লড়তে চায় তাহলে যেন আমার সঙ্গে লড়ে। আমি শান্তিপূর্ণভাবে লড়তে চাই। এভাবে ঠিকারদারদের মামলা দিয়ে উন্নয়ন যেন বাধাগ্রস্ত না করে। আমি ধৈর্য ধরে মোকাবিলা করতে চাই। ভবিষ্যতে আমি এর জবাব দিতে চাই।’

মেয়র সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন,‘আইভীর বিরুদ্ধে নেগেটিভ লিখলে পত্রিকা ভালো চলে। তবে শহীদের রক্তের চেয়ে কলমের কালি মূল্যবান। তাই এ কালি দিয়ে যেন কোনো নারীর ইজ্জত হরণ করা না হয়।’ 

অনুষ্ঠানের শুরুতে সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে ২৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলররাও উপস্থিত ছিলেন।