খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করলে পরিণাম ভয়াবহ : খুলনা বিএনপি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জনগণ মেনে নেবে না। তাঁকে গ্রেপ্তার করলে সরকারের পতন তরান্বিত হবে বলে উল্লেখ করেছেন খুলনা বিএনপির নেতারা।
আজ সোমবার বিকেলে খুলনা মহানগরের কেডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মহান নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র রাজপথে মোকাবিলা করা হবে। বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করা, তারেক রহমানকে দেশে আসতে না দেওয়া ও বিএনপি ভাঙার চক্রান্তে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব জড়িত। তিন মাস অবরুদ্ধ থাকার সময়ে নাশকতার ঘটনায় মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে অন্তরীণ করে ক্ষমতায় বেশি দিন টিকে থাকা যাবে না।
সমাবেশে বক্তারা অবৈধ সরকারের সাত বছরের দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, দুঃশাসন, গণতন্ত্রহীনতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, স্বেচ্ছাচারিতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ, দুর্নীতি ও লুটপাটের মধ্য দিয়ে চলছে এক ব্যক্তির শাসন। নিরাপত্তাহীন দেশে শিশু নারীদের নিরাপত্তা নেই। ব্যাংকে জনগণের অর্থের নিরাপত্তা নেই, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই, খুন-গুমের বাংলাদেশ এটি হাসিনার উপহার।
বিএনপির নেতারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভোট ডাকাতি, মেরুদণ্ডহীন নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিতর্কিত ভূমিকা ও প্রশাসনের সহযোগিতার তীব্র সমালোচনা করেন। তারা লেন, ৫ জানুয়ারির ভোটার বিহীন নির্বাচন, ভোট ডাকাতির উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচণ প্রমাণ করে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে কোনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরকারের আজ্ঞাবহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাধাদানে তীব্র নিন্দা ও অযোগ্য সরকারের পদত্যাগ দাবি করে সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার ও কারাগারে আটক সব নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তব্য দেন কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, অ্যাডভোকেট গাজী আবদুল বারী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম মেঝভাই, রেহানা ঈসা, ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, শেখ আমজাদ হোসেন, আরিফুজ্জামান অপু, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, সিরাজুল হক নান্নু, শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, আসাদুজ্জামান মুরাদ, আবু হোসেন বাবু, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, শফিকুল আলম তুহিন, মেহেদী হাসান দিপু, শের আলম সান্টু, আজিজুল হাসান দুলু, মজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, কামরান হাসান, এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।