‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দুর্নীতির প্রবণতা কমাবে’

খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন দুর্নীতির প্রবণতা কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে।’
আজ সোমবার খুলনায় আয়োজিত ‘স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন; সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আবদুস সামাদ এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুস সামাদ বলেন, ‘দুর্নীতিকে সহনীয় মাত্রায় রাখতে পারলে জিডিপি দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। সরকারিভাবে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এর ফলে প্রতিটি দপ্তরে কাজের গতিশীলতা আনাসহ নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তারা ইনোভেশন তথা নতুন নতুন আইডিয়ার মাধ্যমে নাগরিক সেবা সহজীকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।’ তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে এ সংক্রান্ত ৬৩৫টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। কুমারখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ই-সেবার মাধ্যমে নিজেই পাঁচ হাজার পর্চার কপি প্রদানে ব্যবস্থা নিয়েছেন।
বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভাগীয় প্রশাসন এ অঞ্চলে কীটনাশকমুক্ত ফল ও সবজি উৎপাদনে সার্বিকভাবে সমন্বয় করছে।’
দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন বিষয়ে আলোচনা করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
অনুষ্ঠানের সুপারিশে বক্তারা বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে রুখে দাঁড়াতে গণমানুষের মাঝে মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন শিক্ষাবিদ ও ভাষাসৈনিক বেগম মাজেদা আলী। এতে সভাপতিত্ব করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সনাক) খুলনার সভাপতি শেখ আবদুল কাইয়ুম। স্বাগত বক্তৃতা করেন সনাক খুলনার সহসভাপতি এ কে হিরু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সনাক খুলনার সদস্য অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির।
সভায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, সমাজসেবী, নাগরিক নেতারা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।