কটাক্ষকারীরা পাকিস্তানের ভূত ও নব্য রাজাকার : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে, ১৯৭১ সালের শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করে তারা আসলে পাকিস্তানের ভূত এবং নব্য রাজাকার।’ তিনি আরো বলেন, ‘যতবারই তাকাই সামরিক শাসকদের চেহারার দিকে, ততবারই আমি একাত্তরের রাজাকারদের চেহারা দেখি।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ আয়োজিত ‘বাহান্ন থেকে বাংলাদেশ’ শিরোনামে জেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপিত টেরাকোটা উদ্বোধন করে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন হাসানুল হক ইনু। তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ আরো অনেক এগিয়ে থাকত, যদি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল না করত। সাম্প্রদায়িকতা না থাকত।’
তথ্যমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ছয়টি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, অতীতের রাজনৈতিক জঞ্জাল পরিষ্কারের চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, গণতন্ত্রকে মজবুত করার চ্যালেঞ্জ। তৃতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চ্যালেঞ্জ। চতুর্থ চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সমৃদ্ধ করব, বৈষম্য দূর করব। পঞ্চম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আয়ত্ত করার চ্যালেঞ্জ, বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার চ্যালেঞ্জ। আর ষষ্ঠ চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বিশ্বায়নের যুগে, আঞ্চলিকায়নের যুগে খাপ খাওয়ানোর চ্যালেঞ্জ। এ ছয়টা চ্যালেঞ্জ আমার সামনে। এ ছয়টা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগোবে।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশকে তুলে আনব যে ধাপে আর কোনোদিন সামরিক সরকার হবে না। যে ধাপে আর কোনোদিন রাজাকার ও জঙ্গি সমর্থক সরকার হবে না।’
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের বলব সারা বাংলাদেশে আওয়াজ তুলুন, নামের আগে বীর উপাধি ব্যবহারের অধিকার চাই। সংসদে ও মন্ত্রিপরিষদে বীর উপাধি ব্যবহারের জন্য শেষ তদবিরটা চালাব।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ একটা মহাকাব্য। যে মহাকাব্যের জন্ম দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা জাসদের সভাপতি আবদুস সাত্তার মুখ নেতারা।
জেলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জের ১২০ জন দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাকে পাঁচ হাজার করে টাকা সম্মাননা দিয়ে সংবর্ধনা দেয়।