তৃতীয় দিনেও অবরুদ্ধ খুলনার সড়ক ও রেলপথ

বকেয়া মজুরি-ভাতাসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের জন্য খুলনা অঞ্চলের সাতটি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা তৃতীয় দিনের মতো সড়ক-রেলপথ অবরোধ করে রেখেছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত জুট মিল সিবিএ-ননসিবিএ ঐক্য পরিষদের ডাকে গত দুদিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও সকাল ৬টা থেকে অবরোধ শুরু হয়।
অবরোধের কারণে আজ সকালে ঢাকাগামী চিত্রাসহ তিনটি আন্তনগর ও দুটি লোকাল ট্রেন খুলনা ছেড়ে যেতে পারেনি। খালিশপুর নতুন রাস্তা মোড়, আটরা শিল্প এলাকার ইস্টার্ন গেট এলাকায় শ্রমিকরা সড়কের ওপর কাঠের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন দিয়ে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। একই সঙ্গে রেলপথের ওপর লাল পতাকা দিয়ে ও টায়ারে আগুন দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। রেলপথ-সড়কপথ অবরোধের কারণে এই সড়ক দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও যেতে পারছেন না।
অবরোধ কর্মসূচির পাশে শ্রমিকরা তাঁদের মানবেতর জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরতে ভিক্ষুক সেজে প্রতীকী ভিক্ষা নিচ্ছেন।
অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সড়কের ওপর শামিয়ানা টানিয়ে সমাবেশ করা হয়। ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শাহ আলম, দীন মোহম্মাদ, জাকির হোসেন, আবদুল হামিদ প্রমুখ।
এ সময় ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘এ আন্দোলনের সফলতা না নিয়ে আমরা ঘরে ফিরে যাব না। প্রয়োজনে দিনের পর দিন আমাদের এই অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে খুলনা জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল আহসান জানান, পাট মন্ত্রণালয় থেকে তাঁকে নিশ্চিত করা হয়েছে, রোববার শ্রমিকদের দুই সপ্তাহের মজুরি দেওয়া হবে। তিনি বিষয়টি শ্রমিক নেতাদের জানিয়ে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন। জেলা প্রশাসক আরো জানান, আজ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করতে সম্মতি প্রদান করেছেন।
পাট খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, মজুরি বৃদ্ধি, বকেয়া মজুরি প্রদান, ২০ শতাংশ মহার্ঘ-ভাতাসহ পাঁচ দফা দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত সোমবার কর্মবিরতি পালন করেন মিলগুলোর শ্রমিকরা। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার থেকে সাত দিন আট ঘণ্টা করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।