নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় খুলনা মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সোনাডাঙ্গা থানার সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান মুরাদসহ নয়জন নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে নেতাকর্মীরা খুলনা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মহানগর দায়রা জজ দিলরুবা সুলতানা দুপুরে জামিন নাকচ করে দিয়ে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি খুলনা মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকায় কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামির মধ্যে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান মুরাদ, থানা বিএনপির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান, থানা সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শেখ জামিরুল ইসলাম, থানা যুবদল নেতা মেহেদী হাসানসহ নয়জন আজ সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আদালতে যান। এই সময় মহানগর বিএনপির সভাপতি সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু উপস্থিত ছিলেন।  

পরে নেতাকর্মীরা মহানগর দায়রা জজ দিলরুবা সুলতানার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন মনজুর আহমেদ, গাজী আবদুল বারী, নুরুল হাসান রুবাসহ কয়েকজন আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুলতানা রহমান শিল্পী জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে দুপুরে আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।