খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। 

আজ সোমবার বিকেলে খুলনা জেলা কারাগার থেকে মেয়রকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন জেলার জান্নাতুল ফরহাদ।

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৩ মার্চ মেয়র মনিরুজ্জামান মনি ২০১৩ সালের একটি বিস্ফোরণ মামলায় মহানগর দায়রা জজ অরূপ কুমার গোস্বামীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

এরপর মেয়রকে আরো দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। উচ্চ আদালত গত সপ্তাহে তাঁর তিনটি মামলাতেই জামিন দেন। কগজপত্র পরীক্ষা শেষে বিকেলে জেলা করাগার থেকে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি মুক্তি পান বলে জানান নজরুল ইসলাম মঞ্জু। 

২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর খুলনা নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খুলনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনুকূল চন্দ্র ঘোষ বাদী হয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ৪৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো আড়াইশ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল খুলনা সদর থানার উপপরিদর্শক তাপস কুমার পাল মেয়র মনিরুজ্জামান মনিসহ ৫২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। 

এর আগে ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিকে সাময়িক বরখাস্ত করে। 

আজ বিকেলে মেয়র মনিরুজ্জামান মনির  মুক্তিলাভের আগে পযর্ন্ত বিষয়টি গোপন রাখা হয়। জেল থেকে নিরাপদে বাসায় পৌঁছার পর গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি জানতে পারেন। 

এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু জানান, গাজীপুরের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের গ্রেপ্তারের ঘটনার জন্য তাঁরা খুলনা সিটি মেয়রের জামিনের বিষয়টিতে গোপনীয়তা রক্ষা করেন। 

মঞ্জু জানান, তাঁরা জেল গেট থেকে মেয়র মনিরুজ্জামান মনিকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে থানা-পুলিশ হাজির হয়।