সাত খুনের মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আজ শুক্রবার বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ গোলাকান্দা এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাশার সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক। তিনি সাত খুনের মামলার মূল অভিযুক্ত নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ও সাত খুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ মণ্ডলের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তাঁর বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়েজামাই বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় দুটি মামলা করেন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১১-এর চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, কমান্ডার এম এম রানাসহ ১৯ র্যাব সদস্যের মধ্যে ১৮ জন সাত খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সাত খুনের মামলার মূল অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন এ ঘটনার পর ভারতে পালিয়ে গেলে সেখানকার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।