ইয়াবা রেখে ব্যবসায়ীকে আটকের চেষ্টা পুলিশের

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষাড় বাজারে এক ব্যবসায়ীর দোকানে ইয়াবা রেখে ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশের দুই সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া দুজন হলেন নড়িয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোস্তাফিজুর রহমান ও কনস্টেবল ইব্রাহিম হোসেন।
নড়িয়া থানার পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নড়িয়ার ঘড়িষাড় বাজারের রেইনবো ইতালিয়ান আইসক্রিম অ্যান্ড ফাস্টফুড নামের দোকানে যান এএসআই মোস্তাফিজ ও কনস্টেবল ইব্রাহীম। এ সময় দোকানের মালিক খলিলুর রহমানকে ফ্রিজ সরাতে বলেন তাঁরা। খলিল ফ্রিজ সরাতে গেলে এএসআই মোস্তাফিজ ফ্রিজের নিচে একটি প্যাকেট ফেলে দেন। প্যাকেট ফেলার সময় দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রেতারা তা দেখে ফেলেন। ফ্রিজের নিচ থেকে ওই প্যাকেট বের করে এএসআই ব্যবসায়ী খলিলকে ইয়াবা রাখার অপরাধে আটকের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই ক্রেতারা এএসআইকে বলেন, ‘প্যাকেটটা তো আপনিই রেখেছেন।’ এই নিয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে বাজারের সব ব্যবসায়ী ছুটে এসে দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করে রাখেন। খবর পয়ে নড়িয়া থানার পুলিশ রাত ১০টার দিকে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমার দোকানে এসে পুলিশ আমাকে ফ্রিজ সরাতে বলেন। আমি সরাতে গেলে পুলিশ একটা প্যাকেট নিচে ফেলেই বলে, তুই ইয়াবার ব্যবসা করিস। এ বলে আটক করে। ইয়াবা ফেলানোর দৃশ্যটা অনেকেই দেখে ফেলে। এ সময় উপস্থিত জনতা তাদের বাধা দেয়।’
সহকারী পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) মো. তানভীর আহম্মেদ বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। দুজনকে উদ্ধার করে নড়িয়া থানায় নিয়ে এসেছি। প্রাথমিকভাবে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’