ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর শ্রমিকনেতা চাকরিচ্যুত

খুলনায় ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দেওয়ার ১২ ঘণ্টা না পেরোতেই চাকরিচ্যুত হয়েছেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত জুট মিল সিবিএ-ননসিবিএ ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেন।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে খালিশপুরে ক্রিসেন্ট জুট মিলে সোহরাবের চাকরিচ্যুতির নোটিশ টানানো হয়।
সোহরাব হোসেন ক্রিসেন্ট জুট মিলের শ্রমিক সরদার। তাঁকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্রিসেন্ট জুট মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা কর্মবিরতি শুরু করেন।
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে আবারও ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মো. সোহরাব হোসেন।
ক্রিসেন্ট জুট মিলের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল রাত ১২টার দিকে মিলের প্রধান কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে মো. সোহরাব হোসেনের চাকরিচ্যুতির নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়। এই খবর শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তাঁরা রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং নোটিশ বোর্ড থেকে চাকরিচ্যুতির নোটিশটি ছিঁড়ে ফেলেন।
আজ সকালের পালা শুরু হওয়ার আগেই ক্রিসেন্ট জুট মিলের শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে মিলগেটে প্রতিবাদ সভা করেন এবং এই নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। নোটিশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতির ঘোষণাও দেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে ক্রিসেন্ট জুট মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো কর্মকর্তাই মোবাইল বা টেলিফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমীর তৈমুর ইলি জানান, গত রাতে শ্রমিকরা নোটিশ বোর্ড থেকে নোটিশ ছিঁড়ে ফেলেন এবং প্রশাসন বিভাগে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। মিল এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ বিরাজ করছে এবং শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
গতকাল দুপুরে খালিশপুরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত জুট মিল সিবিএ-ননসিবিএ ঐক্য পরিষদ সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে। লিখিত বক্তব্যে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেন ও সদস্য সচিব এস এম জাকির হোসেন। বক্তব্য পাঠ করেন সোহরাব হোসেন। এর জের ধরে তাঁকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।