বিজিবি ক্যাম্পে হামলা : মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেল উদ্ধার

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্পে হামলায় ব্যবহৃত দুটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি মাইনসদৃশ বোমাও উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে থানচির সীমান্তবর্তী বুলুপাড়া জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে এসব মর্টার উদ্ধার করা হয়। বিজিবির দাবি, এসব মর্টার শেল মিয়ানমার সেনাবাহিনী ব্যবহার করে থাকে।
বিজিবি বান্দরবানের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল হাবিবুর রহমান জানান, বিস্ফোরকের আলামত সংগ্রহ করতে ক্যাম্পের পাশের জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে আজ বিকেলে মিয়ানমারের নিক্ষেপ করা অবিস্ফোরিত দুটি মর্টার শেল এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
গোলাগুলির ঘটনার পর থেকে বিজিবি মিয়ানমার সীমান্তজুড়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সীমান্তের ক্যাম্পগুলোতে ভারি অস্ত্রের মজুদও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা।
এসব শেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বান্দরবান বিজিবি সেক্টরে আনা হবে বলে জানা গেছে।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, গত বুধবার উপজেলায় থানচি-আলীকদম সীমান্তের বুলুপাড়া বিজিবির নির্মাণাধীন ক্যাম্প লক্ষ্য করে (নিরাপত্তা চৌকি) ছয়টি মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে মর্টার শেলের গোলা ক্যাম্পের ১০০ গজ দূরত্বে হেলিপ্যাডসহ আশপাশের জঙ্গলে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। যে কারণে কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এতে বিজিবির হেলিপ্যাড কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ঘটনায় বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা দুটি মর্টার শেল নিক্ষেপ করেন মিয়ানমার সীমান্তে।
এর আগে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে থানচি উপজেলার বড়মদকে বিজিবি ক্যাম্পে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি হামলা চালিয়েছিল। বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের গুলিতে কয়েকজন বিজিবি সদস্যও আহত হন।