বড় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে : হানিফ

বাংলাদেশেরই কিছু মানুষ আজকে একাত্তরে পরাজিত শক্তির পরামর্শ নিয়ে দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র কায়েমের কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে হানিফ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আজকে অনেকেই বলেন সরকার এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না, ব্যর্থ হচ্ছে। সারা পৃথিবীতে দেখা যায়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে খুব ক্ষুদ্র একটা অংশ জড়িত থাকে। সেটা হয়তো শতকরা দশমিক শূন্য এক পার্সেন্ট ... সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ। .... কিন্তু বিএনপি-জামায়াত যদি তাদের লক্ষ লক্ষ কর্মীকে সন্ত্রাসে নামায় তাহলে সেটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় প্রয়োজন। আজকে একটা বড় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরকারকে লড়াই করতে হচ্ছে।’
বিএনপির চলমান হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘আন্দোলন তো বাংলাদেশের মানুষ বহুবার করেছে। আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম, স্বৈর শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। হরতাল অবরোধ এই বাংলাদেশের মানুষ বহুবার দেখেছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া আপনি যেভাবে পেট্রল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছেন এটা বাংলাদেশের মানুষ কখনো দেখে নাই। আফগানিস্তান, পাকিস্তানের মতো মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে আপনি আপনার দাবি আদায় করতে চান। আল-কায়েদার মতো পরিকল্পনা নিয়ে আপনি মাঠে নেমেছেন যেটা বাংলাদেশের মানুষ আপনার কাছ থেকে কখনো আশা করে নাই। দুর্ভাগ্য জাতির। কারণ আপনাকে বাংলাদেশের মানুষ এর আগে দুইবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখেছিল। ... দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ন্যূনতম দায়িত্ববোধ আপনি দেখাতে পারেন নাই।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে হানিফ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে আর বিএনপি নেত্রী হিসেবে নয়, আপনাকে এখন জঙ্গিবাদের নেত্রী হিসেবে ভাবে। আপনাকে এখন সন্ত্রাসের নেত্রী হিসেবে ভাবে। আপনি দয়া করে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন। না হলে এই বাংলার মানুষ সন্ত্রাসবাদের নেত্রী হিসেবে আপনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। আপনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বাংলাদেশের মানুষ।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে এ রকম সন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদের সবাইকে শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ধরিয়ে দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান হানিফ। তাহলেই সন্ত্রাস নির্মূল করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।