শরীয়তপুরে বাঁশ কাটা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৬

শরীয়তপুর সদর উপজেলার বাইশরশি গ্রামে বাঁশ কাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক শিশুসহ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পালং থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের বাইশরশি গ্রামের ইউনুস ব্যাপারী তাঁর ছেলে রিয়াদকে নিয়ে বাড়ি সংলগ্ন নিজেদের বাঁশ বাগান থেকে বাঁশ কাটতে যান। বাঁশ বাগান নিয়ে তাঁর চাচাতো ভাই হামেদ ব্যাপারির সঙ্গে কিছুটা দ্বন্দ্ব ছিল। বাঁশ কাটার সংবাদ পেয়ে হামেদ ব্যাপারী ও তাঁর লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ইউনুস ব্যাপারীর লোকজনও ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হলে উভয়পক্ষের ছয়জন আহত হয়। আহতরা হচ্ছে আলাউদ্দীন ব্যাপারী (৩০), ইউনুস ব্যাপারী (৪৫) ও তাঁর ছেলে রিয়াদ (১২) এবং প্রতিপক্ষের হামেদ ব্যাপারী (৫০), রফিকুল ইসলাম (২৭) ও শহিদুল ব্যাপারী (২৫)। এদের মধ্যে ইউনুস ব্যাপারী ও তাঁর ছেলে রিয়াদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আলাউদ্দীন ব্যাপারী বলেন, সকালে ইউনুস ব্যাপারি নিজের বাগানে বাঁশ কাটার সময় হামেদ ব্যাপারি লোকজন নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা ইউনুস ব্যাপারীর শিশুপুত্র রিয়াদকেও রেহাই দেয়নি।
তুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ফকির বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত বছরো এই বাঁশ বাগান নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়ে আসে।
পালং মডেল থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।