তাবিথকে বিএনপির সমর্থন
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়ালকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির সিটি নির্বাচন পরিচালনা স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে এমাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে দলের সিটি নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন কমিটি’র কয়েকজন সদস্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজায়’ তাঁর সাথে দেখা করেন। এমাজউদ্দীন আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহ্বায়ক। এ সময় এমাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে ছিলেন সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।
চেয়ারপারসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ‘ফিরোজা’ থেকে বের হয়ে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে তাবিথ আউয়ালকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এমাজউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তরের মেয়র পদে জনাব তাবিথ আউয়ালকে মনোনীত করেছি। এই বিষয়টি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জানাতে এসেছিলাম। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই আমরা সংবাদ সম্মেলন করব।’
আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ বলেন, ‘আমরা মনে করি ম্যাডাম নিশ্চিতভাবে আমাদের প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুও ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। পরে মিন্টু আপিল আবেদন করলে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও হাইকোর্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল বিভাগে গেলেও তা আর ফিরে পাননি।
এদিকে তাবিথ আউয়ালের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করলেও ঋণখেলাপির অভিযোগ এনে মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার শুনানি শেষে সোনালী ব্যাংকের আপিল আবেদন খারিজ করে দেয় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। ঢাকা সিটি করপোরেশনে তাবিথ আউয়াল একমাত্র প্রার্থী, যাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়।
আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন।