সবস্তরের সন্ত্রাস দূর করার দাবি সুজনের

জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকেপড়া বিপথগামী তরুণদের ব্যাপারে কেবল বল প্রয়োগের কৌশল নেওয়া হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। সমাজের সবস্তরের সন্ত্রাস দূর করা না গেলে জঙ্গিবাদ মোকাবিলা সম্ভব নয়।
আজ শনিবার রাজধানীর শাহবাগে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জঙ্গিবাদের নামে, উগ্রবাদের নামে যারা বিভিন্ন অপরাধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই বল প্রয়োগ করতে হবে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু বহু ব্যক্তি আছে যারা বিপথগামী। তারা ভুল পথে যাচ্ছে। তাদের ওপর বলপ্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হবে।’
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘যারা এখন পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসে যুক্ত নয়, তাদের ফিরে আসার সুযোগ দিয়ে ডির্যাডিক্যালাইজ করুন। তাদের সংশোধন কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে আপনাকে সামাজিক অ্যাপ্রোচ নিতে হবে। সেখানে মানবতার অ্যাপ্রোচ নিতে হবে। ক্রসফায়ার কোনো উত্তর নয়।’
বক্তাদের কারো কারো মতে সমাজে এবং রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে যে সন্ত্রাসের এবং অনাচারের চর্চা হচ্ছে, সেটাও জঙ্গিবাদে, সন্ত্রাসবাদে প্রতি উৎসাহ জুগিয়েছে।
সুজনের নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা কি সন্ত্রাসমুক্ত ছিল, টেন্ডারবাজি কি কমেছে? সেখানে কি সন্ত্রাস ছিল না? রাজনৈতিক দলগুলোর মারামারি, খুনাখুনি কি থেমেছে? সুতরাং সন্ত্রাসের বহু প্রকার-প্রকরণ রয়ে গেছে। সর্বত্রই এটাকে দমন করতে হবে।’
সুজনের নির্বাহী সদস্য লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘যে সমাজে গণতন্ত্র থাকে, যেখানে মত প্রকাশের ব্যবস্থা থাকে সেখানে অন্য কোনো পথ গ্রহণের প্রয়োজন নেই, সুযোগও নেই।’