শান্তির প্রয়োজনে সর্বোচ্চ শক্তি : নাসিম

শান্তির প্রয়োজনে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেছেন, ‘দুনিয়ার সর্বত্র শান্তির প্রয়োজনে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে জনগণের শান্তি ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়ে তুলতে হয়েছে। এখানেও তাই করতে হবে।’
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এ সব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া আজকে জনগণের কোনো নেত্রী তিনি নন। তিনি এখন জঙ্গির নেত্রীতে পরিণত হয়ে গেছেন। বোমাবাজ, সন্ত্রাসীদের নেত্রীতে পরিণত হয়ে গেছেন এবং তিনি জনগণকে হত্যা করছেন। জনগণের নেত্রী কোনোদিনও জনগণকে হত্যা করার জন্য এভাবে ইঙ্গিত দিয়ে কথা বলতে পারেন না। আমরা কয়দিন পত্রিকায় দেখেছি টেলিফোন কথোপকথনের মাধ্যমে তিনি তাঁর নেতাদের কীভাবে নির্দেশ দিচ্ছেন। ইঙ্গিতে-পরোক্ষভাবে। অনেক সময় মনে হয় প্রত্যক্ষভাবে তিনি নির্দেশ দিচ্ছেন। একজন হতাশগ্রস্ত গণতান্ত্রিক নেত্রী আজ সন্ত্রাসের নেত্রীতে পরিণত হয়ে গেছেন। জঙ্গিবাদের নেত্রীতে পরিণত হয়ে গেছেন। আমরা কোনো আহ্বান জানাতে চাই না তাঁর প্রতি। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে বলতে চাই, অবশ্যই এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে, এই হামলাকে শুধু বন্ধ নয় নির্মূল করতে হবে। এর কোনো বিকল্প হতে পারে না। দুনিয়ার সর্বত্র শান্তির প্রয়োজনে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে জনগণের শান্তি ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়ে তুলতে হয়েছে। এখানেও তাই করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো শৈথিল্য বা কোনোরূপ অবহেলা জনগণ দেখতে চায় না। ১৪ দল মনে করে, এখন কঠোরভাবে যেসব জায়গায় এগুলো ঘটছে বা অনুসরণ করা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যেকোনো ব্যবস্থাকে ১৪ দল সমর্থন করবে।’
মোহাম্মদ নাসিম দাবি করেন, ‘বিএনপি জামায়াতের কোনো বন্ধু দেশে নাই। দিস ক্লিয়ার। তাদের কোনো বন্ধু নাই। তাদের সব আছে বিদেশে আছে। মূল প্রভুরা সব বিদেশে তারা এবং তারা কারা সবাই আপনারা জানেন। আপনারা পত্রিকায় লিখছেন। এটা মুখ দিয়া বলার দরকার নাই। সবাই জানে। ওদের কোনো বন্ধু দেশে নাই। দেশে বন্ধু যদি থাকত তবে জনগণকে হত্যা করত না। দেশবাসীকে হত্যা করত না।’