নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় প্রতিবেশী তরুণের বিরুদ্ধে ছয় বছর বয়সী এক ছেলেকে বলাৎকার করার অভিযোগ ওঠেছে। শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত আফসার উদ্দিনের (১৮) বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন শিশুটির বাবা। নির্যাতনের ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

শিশুটির বাবা জানান, গতকাল সোমবার দুপুরে ছেলেকে নিজ হাতে গোসল করিয়ে নিজে গোসল করতে যান। এ সময় পাশের বাড়ির আফসার উদ্দিন দোকানে পাঠানোর কথা বলে ঘরের ভেতর ডেকে নেয় ছেলেকে। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে মুখের ভেতর কাপড় গুজে তাঁর ছেলেকে বলাৎকার করে আফসার। তারপর দোকান থেকে মজার খাবার কেনার জন্য ১০ টাকা দেয়।

এদিকে নির্যাতনের পর শিশুটির ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। রক্তক্ষরণ ও শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে বিষয়টি আশপাশের মানুষ ও তার বাবার দৃষ্টিগোচর হয়। তারপর জিজ্ঞাসা করলে সে ঘটনা খুলে বলে।  এ সময় শিশুটি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় নরসিংদী সদর হাসপাতালে।

ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, শিশুটিকে খুব গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় তার পায়ুপথ দিয়ে বেশ রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাকে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সে আশঙ্কামুক্ত হলেও তার শরীরের অভ্যন্তরে বেশ ক্ষতি হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আফসার উদ্দিন পলাতক। এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, এর আগেও সে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এমনকি তার বাবার বিরুদ্ধেও এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী আফসারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির ওপর নির্যাতনের ঘটনা আমরা শুনেছি। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেলেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’