সিটিসেল ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যক্রম চালাতে পারবে

বেসরকারি মুঠোফোন অপারেটর সিটিসেল তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালনা করতে পারবে মর্মে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) তাদের কোনো কার্যক্রমে বাধা দিতে পারবে না বলেও নির্দেশ দেন আদালত।
আজ সোমবার সিটিসেল কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এদিকে, সিটিসেলের বিলুপ্তি সংক্রান্ত আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৪ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে সিটিসেলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান। চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানজিব-উল-আলম। আর বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব।
আগামীকাল ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার থেকে সিটিসেলের সব কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। সিটিসেলের কাছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে সরকারের। বার বার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও টাকা পরিশোধ না করায় এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর বিপরীতে সিটিসেলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট সিটিসেলের প্রায় পাঁচ লাখ গ্রাহককে অন্য অপারেটরের সেবা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছিল বিটিআরসি।
আজ শুনানিকালে বিটিআরসির আইনজীবী আদালতকে জানান, তারা যাতে তাদের পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা প্রথমেই পায় সে বিষয়টি আদালতকে দেখতে বলেন।
রেজা-ই রাকিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু রাষ্ট্রের একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা বিটিআরসি। এটা রাষ্ট্রের অর্থ। তাই সিটিসেল বিলুপ্ত হয়ে গেলে আমাদের এই অর্থ যেন সর্বাগ্রে পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয় সে জন্য আমরা আবেদন করেছি।’
আর সিটিসেলের আইনজীবী আসাদুজ্জামান বলেছেন, শিগগিরই শেয়ার বিক্রির টাকা এলে শোধ করা হবে দেনা। তখন সিটিসেল বিলুপ্ত ঘোষণার প্রয়োজন হবে না।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসিলের কাছে পাওনা দাবি করে চীনের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।
এ ব্যাপারে সিটিসেলের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান জানান, গত বছরের জুলাই মাসে চীনের ব্যাংকটি ঋণ পরিশোধের জন্য আদালতে মামলা করেছিল। একই দিন সিটিসেলের কাছে পাওনা ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা চেয়ে আবেদন করে বিটিআরসি।
সিটিসেলের অন্যতম অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক সিটিসেলের কাছে মোট তিন কোটি ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ২৯৩ কোটি টাকা) পায়।