পাওনা পরিশোধে দুই মাস সময় পেল সিটিসেল

বেসরকারি মুঠোফোন অপারেটর সিটিসেলকে আগামী দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
এ সময় পাওনা টাকা দুই ভাগে ভাগ করে প্রথম মাসে দুই-তৃতীয়াংশ এবং পরবর্তী মাসে বাকি টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া গত ১৭ আগস্টের পর থেকে প্রতিদিন যে ১৮ লাখ টাকা সিটিসেলের কাছে পাওনা হচ্ছে বিটিআরসির, তা অনতিবিলম্বে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় বিটিআরসি যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এ সময় সিটিসেলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ এবং বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও রেজা-ই রাকিব।
এ বিষয়ে রেজা-ই রাকিব এনটিভি অনলাইনকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করার পর আজ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করে কয়েকটি নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী দুই মাসের মধ্যে বিটিআরসির ৪৭৭ কোটি টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, সিটিসেলের বিলুপ্তি সংক্রান্ত আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৪ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
সিটিসেলের কাছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে সরকারের। বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও টাকা পরিশোধ না করায় এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর বিপরীতে সিটিসেলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট সিটিসেলের প্রায় পাঁচ লাখ গ্রাহককে অন্য অপারেটরের সেবা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছিল বিটিআরসি।
এ ছাড়া গত ১৭ আগস্ট বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের কাছে পাওনা দাবি করে চীনের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।
সিটিসেলের অন্যতম অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক সিটিসেলের কাছে মোট তিন কোটি ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ২৯৩ কোটি টাকা) পায়।