বন্দিশিবির সম্পর্কে থাইল্যান্ড কিছু জানায়নি : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/05/05/photo-1430822904.jpg)
পাচার হওয়ার পর নিহত বাংলাদেশিদের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য থাইল্যান্ড সরকার জানায়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সরকার থেকে কনস্যুলেট পর্যায়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখানে পাঁচ দিনের ছুটি চলছে। আগামীকাল (বুধবার) হয়তো এ ব্যাপারে তথ্য জানা যেতে পারে।’
কয়েক দিন আগে দেশটির শংখলা প্রদেশের পেদাং বেসার শহরের পার্শ্ববর্তী জঙ্গলেই ৩০টি গণকবর পাওয়া গেছে। এখানকার একটি গণকবর থেকে ২৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ১০ বাংলাদেশি রয়েছেন।
পর্যব্ক্ষেকদের ধারণা, থাইল্যান্ডের যে স্থানে গণকবর পাওয়া গেছে, সেখানকার বন্দিশিবিরে ৮০০ থেকে এক হাজার জনকে আটকে রাখা হয়েছিল। যাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নাগরিক।
থাইল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যম ফুকেটওয়ান জানিয়েছে, পাচারকারীরা থাইল্যান্ডের জঙ্গলে নির্মিত অস্থায়ী ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি নাগরিকদের আটকে রাখত। বড় নৌযানে করে ৫০ থেকে ৮০ জনের একটি দলকে বন্দি করে পাচার করা হতো, যাদের প্রত্যেকের কব্জিতে রঙিন ফিতা বেঁধে আন্দামানে ছেড়ে দেওয়া, এই ফিতার মাধ্যমেই বোঝা যেত তারা কোন পাচারকারীর সম্পদ।
জীবিত উদ্ধার হওয়া অনেকেই জানিয়েছেন, বহু মানুষকে গুলি করে বা পালানোর চেষ্টা করলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মাথাপিছু ৬০ হাজার থাই বাত (দুই হাজার মার্কিন ডলার) মুক্তিপণ দাবি করা হতো।