নরসিংদীতে ১৪ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

নরসিংদী সদর উপজেলার শিলমান্দী, কামারগাঁওসহ ১৫টি গ্রামের প্রায় ১৪ হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় পাঁচ হাজার ফুট নিম্নমানের লোহার পাইপ, রাইজার উদ্ধার করা হয়।
তিতাস গ্যাস চিনিশপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. তওহিদুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. তাইফুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী আবদুল আলীম রাসেল, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. খালিদ হোসেনের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি কারিগরি দল মাটি খুঁড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালান। অভিযানে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করেন।
নিম্নমানের লোহার পাইপ দিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার ফলে যে কোনো সময় প্রাণহানির মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে জানিয়েছেন তওহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, সাধারণ লোকজনকে ভুল বুঝিয়ে চুলাপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগগুলো দেয় গ্যাস চোর চক্র। এর সঙ্গে এলাকার প্রভাবশালীরা জড়িত আছে।
গত দুদিনে যেসব এলাকায় অভিযান চালানো হয়, সেগুলো হলো সদর উপজেলার উত্তর শিলমান্দী, বাগহাটা, দরিপাড়া, তুলশিপুর, মিরাপাড়া, ক্ষিদিরপুর, টেকপাড়া, মধ্যনগর, কামারগাঁও, মহিষাশুড়া ইউনিয়নের শান্তিভাওলা, দামেরভাওলা, চান্দেরপাড়া ও হামটিসহ বিভিন্ন এলাকা।
তিতাস কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. তওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি এসব এলাকায় দুবার তিতাস গ্যাস উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে সংযোগগুলো বিচ্ছন্ন করেছিল। কিন্তু অসাধু গ্যাস চক্রের যোগসাজশে পুনরায় সংযোগগুলো দেওয়া হয়েছে। আমরা জানতে পেরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে এসব এলাকার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করি। গ্যাস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকা কিছু নাম আমরা পেয়েছি। শিগগিরই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’