ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হলত্যাগ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/05/14/photo-1431600442.jpg)
টাঙ্গাইলের মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে আবাসিক হলের ছাত্র এবং আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীরা হলত্যাগ করেন।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্র নিহত হওয়ার জের ধরে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম যথারীতি স্বাভাবিক গতিতে চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খাদেমুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীরা হলত্যাগ করেছে। তিনি আরো জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত মোশাররফ নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বলে পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। তাই এই ক্যাম্পাসে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই।
এ ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভায় এ সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান খাদেমুল ইসলাম।
এদিকে হঠাৎ ক্লাস বন্ধ করে হল ত্যাগের নির্দেশ পাওয়ার পর ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। রাজনীতিমুক্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ রকম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।
টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা এনটিভি অনলাইনকে জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
গতকাল বিকেল ৩টার দিকে টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত আবু সাদাত খালেদ মোশারফের (২৪) মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অন্য দুই ছাত্রকে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজনীতিমুক্ত ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি না থাকলেও নিহত খালেদ মোশারফ নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয় দিতেন। খালেদ মোশারফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ তত্ত্ব ও পুলিশবিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মুজাপট্টি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলামের ছেলে।