এমপি পদে নিজাম হাজারীর বৈধতার রায় পেছাল

ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) পদে নিজাম হাজারীর বৈধতা নিয়ে দায়ের করা রিটের রায় আবার পিছিয়েছে। আগামী সোমবার এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
এ বিষয়ে নিজাম হাজারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, তাঁর মক্কেল কারাগারে থাকাকালে রক্তদান করেছিলেন। বিনিময়ে তাঁর সাজা কত দিন মওকুফ করা হয়েছে, সে বিষয়ে আইনি ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। এর ওপর আগামী সোমবার আবার শুনানি হবে।
আজ আদালতে নিজাম হাজারীর পক্ষে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ছাড়াও ছিলেন নূরুল ইসলাম সুজন। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী।
গত ৩১ আগস্ট ফেনীর আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর এমপি পদের বৈধতা নিয়ে করা রিটের রায় এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। রায় দেওয়ার সময় নিজাম হাজারী আদালতে তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে জানান, কারাগারে সাজা খাটার সময় তিনি ১৩ ব্যাগ রক্ত দান করেছিলেন। এর বিনিময়ে তাঁর ৪৮৬ দিন সাজা মওকুফ করা হয়।
পরে বিচারপতি রায় স্থগিত করে ৩ নভেম্বর পুনরায় শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। কয়েক দিন শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়। শুনানিকালে চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষ তাঁর রক্তদানের বিষয়ে কোনো নথি নেই বলে আদালতকে প্রতিবেদন আকারে জানায়।
এর আগে রায়ের মাঝপথেই নিজাম হাজারী ১৩ ব্যাগ রক্তদানের বিনিময়ে ৪৮৬ তিন সাজা মওকুফ চেয়ে আবেদন করার পর আদালত রায় স্থগিত করেন।
‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে ২০১৪ সালের ১০ মে একটি সংবাদপত্রে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে বলা হয়, ২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হয়। তিনি দুই বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে কারাগার থেকে মুক্তি পান।
পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত হোসেন ভূঁইয়া।