পরিবেশ দূষণ,আরসি কোলা কারখানা বন্ধ

গাজীপুরের পারটেক্স গ্রুপের কোমল পানীয় আরসি কোলা কারখানার উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারখানার নির্গত বর্জ্যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও এলাকার পরিবেশ দূষণের দায়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ বুধবার এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া এ বিষয়ে তদন্তের জন্য গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাহাদুরপুর এলাকায় অবস্থিত পারটেক্স গ্রুপের কোমল পানীয় আরসি কোলা কারখানার নির্গত বর্জ্যে আশপাশের প্রায় পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলাকার কৃষি জমি ও বাড়িঘরে মারাত্বক দূষণ ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে বিভিন্ন শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, রাস্তা ও বাড়িঘরে দুর্গন্ধযুক্ত দূষিত পানি প্রবেশ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে আজ দুপুরে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এ সময় মারাত্মক পরিবেশ দূষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় জেলা প্রশাসক পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত আরসি কোলাসহ ওই কারখানার সবরকম উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
পরিবেশ দূষণের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেনকে আহ্বায়ক করে গঠিত ওই কমিটির সদস্যরা হলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-৩ মো. সোলায়মান, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোনিয়া সুলতানা, সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর ও আরসি কোলা কারখানার জেনারেল ম্যানেজার।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেন, জেলা ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা সাজিদ আনোয়ার, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোনিয়া সুলতানাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোনিয়া সুলতানা জানান, পারটেক্স গ্রুপের ওই বেভারেজ কারখানার নির্গত বর্জ্যে প্রায় পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলাকার কৃষি জমিসহ জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।