কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবক নিহত

কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ স্বপন ওরফে কালা স্বপন নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সদর দক্ষিণ থানা এলাকার জোড়কানন ইউনিয়নের ভাটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্বপন সদর দক্ষিণ থানা এলাকার উত্তর রামপুর গ্রামের আবদুল কাইয়ুমের ছেলে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) প্রশান্ত পাল এনটিভিকে জানান, শনিবার সকালে স্বপনকে শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকা থেকে আটক করেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা। পরে তাঁকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় সোপর্দ করা হয়। রাত দেড়টার দিকে স্বপনকে নিয়ে ভাটপাড়া এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে কয়েকজন সন্ত্রাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন স্বপন।
ওসি প্রশান্ত পাল জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক স্বপনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি কিরিচ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত স্বপনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় তিনটি হত্যা, তিনটি অস্ত্র মামলাসহ ২৮টি মামলা ছিল। তাঁর মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশের দাবি তারা দুজনই জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। আহত ব্যক্তিদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত শেখ সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, রোববার ভোর রাত ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতকর্মীদের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। নাশকতা সৃষ্টির খবর পেয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের একটি টহল দল লুদুয়া গ্রামে অভিযান চালায়। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা জামায়াতকর্মীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। এতে নাঙ্গলকোট থানার ওসি নজরুল ইসলামসহ তিন পুলিশ আহত হন। এ ঘটনায় দুই জামায়াতকর্মী গুলিবিদ্ধ হন।
আহত দুই জামায়াত কর্মী নাঙ্গলকোট উপজেলার বাম গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে বেলায়েত হোসেন ও একই গ্রামের আবদুল হাদির ছেলে বিল্লাল হোসেন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি পেট্রলবোমা ও ১২টি ককটেল উদ্ধার করা হয় বলেও জানান ওসি।