তামাকের উৎপাদন ও ব্যবহার কমাতে হবে : রাষ্ট্রপতি
তামাকের উৎপাদন ও ব্যবহার দুটোই কমিয়ে আনার তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘ধূমপানকে বলা হয় মাদক সেবনের প্রবেশপথ। তামাক এক প্রকার বিষ, যা মানুষকে ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। তামাকের উৎপাদন ও ব্যবহার দুটোই কমিয়ে আনতে হবে।’
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এসব কথা বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তামাক চাষ হতে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তামাকজাত পণ্য সেবন প্রতিটি পর্যায় জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান ও তামাক সেবন প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তামাক সৃষ্ট রোগে পৃথিবীতে প্রতিবছর ৭০ লক্ষাধিক মানুষ অকালে মারা যায়। তামাক ও ধূমপান শুধু ধূমপায়ীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, পরোক্ষভাবে অধূমপায়ীকেও সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
বাণীতে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ণসহ বিভিন্ন কারণে খাদ্য উৎপাদনযোগ্য কৃষিজমি কমে আসছে। অপরদিকে, জলবায়ু পরিবর্তন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন সমস্যা খাদ্য উৎপাদনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এমতাবস্থায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল কৃষি জমিতে খাদ্যশস্য চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক। সেজন্য খাদ্য উৎপাদনযোগ্য কৃষি জমিতে ক্ষতিকর নেশাদ্রব্য তৈরির উপকরণ ও তামাক চাষের পরিবর্তে খাদ্যশস্য চাষ করা জরুরি। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের বাজার নিশ্চিত করা এবং টেকসই ও পুষ্টিকর শস্য চাষ বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করতে হবে। এ প্রেক্ষিতে এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”
তামাক চাষে অনেক বেশি সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এমনকি, এটি চাষে ক্রমশ মাটির উর্বরতা হ্রাস পায় জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “তামাক চাষের পরবর্তী সময়ে সে জমিতে খাদ্যশস্য উৎপাদন ভাল হয় না। এ ছাড়া কাঁচা তামাক পাতা চুল্লিতে আগুনের তাপে শুকানো ও বিড়ি-সিগারেট তৈরির জন্য বনজসম্পদ ধ্বংস হয়। চুল্লির আশপাশের বায়ু মারাত্মক দূষিত হয়।”