‘অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থপাচারকারীদের কোনো আদর্শ নেই’
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/07/17/court.jpg)
অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থপাচারকারীদের কোনো আদর্শ নেই বলে অর্থপাচার আইনের এক মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে এ কথা উল্লেখ করেছেন আদালত। আজ সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের দশ বছর ও আট দেহরক্ষীর কারাদণ্ড দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক আরও বলেন, ‘অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থপাচারকারীদের কোনো আদর্শ নেই। তারা কোনো আদর্শকে লালন করে না। তবে, আদর্শকে ব্যবহার করে রাতারাতিভাবে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে ও দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। দেশের চলমান উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থে তাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।’
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন—মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।
২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গুলশান থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড আবু সাঈদ আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় মোট ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়। এরপর একই বছরের ১০ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। গত ১৫ জুন আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২৫ জুন রায়ের দিন ধার্য করেন। তবে ওইদিন রায় পিছিয়ে ১৭ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর ও নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে।
২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় জিকে শামীম ও তাঁর সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।