বিএনপি থাকলে রাজনীতি কলুষমুক্ত হবে না : তথ্যমন্ত্রী

‘বিএনপি থাকলে রাজনীতি কলুষমুক্ত হবে না’ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এরা যতদিন রাজনীতির মাঠে থাকবে রাজনীতির মাঠ কলুষমুক্ত হবে না। ঘৃণা এবং সাংঘর্ষিক রাজনীতি কখনও যাবে না।’
আজ সোমবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে এই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। ঘটনার পূর্বাপর বিশ্লেষণে দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, তখনকার সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সেখানে যে গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছিল সেগুলো সেনাবাহিনী যুদ্ধ ময়দানে ব্যবহার করে। এই গ্রেনেড তো সন্ত্রাসীদের কাছে থাকার কথা না। এগুলো তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একজন সেনা কর্মকর্তা আলামত হিসেবে একটি গ্রেনেড রেখে দিয়েছিল। সে কেন রেখে দিল, এ জন্য তাকে সেনাবাহিনী থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ, অন্য সব আলামত ধ্বংস করা হয়েছিল, হামলার স্থান পানি দিয়ে ধুয়ে দেওয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনা সেদিন সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। আমাদের নেতারা বঙ্গবন্ধু কন্যার চারপাশে মানবঢাল তৈরি করেছিল। সেদিন আওয়ামী লীগের ২২ নেতাকর্মী নিহত ও ৫০০ এর বেশি আহত হয়েছে। সমগ্র পৃথিবী নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে। কিন্তু, সংসদে একটি শোক প্রস্তাব আনতে বা কোনো আলোচনাও করতে দেওয়া হয়নি। বরং, হাস্যরস করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কিছু মানবাধিকার ব্যবসায়ী আছে, দেশেও আছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আছে। কিছু মানবাধিকার সংগঠনও এটাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। আর কিছু দেশ মানবাধিকারকে একটা অস্ত্র হিসেবে নিয়েছে অন্য দেশকে ঘায়েল করার জন্য। যারা এগুলো করে তাদের দেশে যে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, সেটি নিয়ে তো কোনো কথা হয় না। যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বা অগ্নিসন্ত্রাসের নিন্দা জানায় না, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক বিষয় আখ্যা দিয়ে কিছু বলতে চায় না, তারা আসলে মানবাধিকারকর্মী বা মানবাধিকার সংগঠন না। এরা মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করে।’